ভুল রিপোর্ট ও ভুয়া রিপোর্ট
(স্বাস্থ্য কথা)
ডা. সাদেকুল ইসলাম তালুকদার
ভুল রিপোর্ট এবং ভুয়া রিপোর্ট-এর মধ্যে পার্থক্য আছে। রিপোর্ট বলতে আমি বুঝাচ্ছি প্যাথলজিক্যাল রিপোর্ট। বৈধ প্যাথলজি ল্যাব থেকে, মনে করুন, আপনি একটা কিছুর সেম্পল পরীক্ষা করালেন। এই পরীক্ষা কিন্তু একজনে করেননি। একজন ল্যাব এসিস্ট্যান্ট, ফ্লেবোটমিস্ট অথবা টেকনোলজিস্ট সেম্পল কালেকশন করেছেন। কালেকশন করার নিয়ম আছে। নিয়মমতো কালেকশন না করলে আপনার রিপোর্ট ভুল আসবে। কালেকশন করার পর টেকনোলজিস্ট পরীক্ষার জন্য প্রসেস করেছিলেন। টেকনোলজিস্টের দক্ষতার কমতি থাকলে আপনার পরীক্ষার রিপোর্ট ভুল আসতে পারে। টেকনোলজিস্ট প্রসেস করে ফাইনাল স্টেপ সমাধান করার জন্য প্যাথলজিস্টের নিকট দিয়েছিলেন। প্যাথলজিস্টের দক্ষতার কমতি থাকলে আপনার পরীক্ষার রিপোর্ট ভুল আসতে পারে। প্রসেস করতে রিএজেন্ট দরকার। রিএজেন্ট খাটি না হলে আপনার পরীক্ষার রিপোর্ট ভুল আসতে পারে। রিএজেন্ট সংরক্ষণের জন্য প্রয়োজন নির্দিষ্ট তাপমাত্রার ফ্রিজ। এটা ঠিকমতো কাজ না করলে রিএজেন্ট কার্যকরীতা হারাবে। রিপোর্ট ভুল আসবে।
এবার আসি ভুয়া রিপোর্টে। ভুয়া রিপোর্ট করা হয় অসাধু পথে টাকা কামানোর জন্য। যারা একাজে জরিত তারা অমানুষ। কিন্তু জানোয়ার নয়। জানোয়ার এদের চেয়ে ভালো। ভুয়া রিপোর্টকারীরা সংঘবদ্ধ থাকে। তারা রোগী ধরে ভুলিয়েভালিয়ে ভুয়া ডাক্তারের চেম্বারে নিয়ে যায়। ভুয়া ডাক্তার একগাদা পরীক্ষা লিখে দেয় প্যাডে। তারা ভুয়া ল্যাবে নিয়ে যায় পরীক্ষা করাতে। সেখানে কম্পিউটার দিয়ে পরীক্ষা করা হয় বলে তেমন লোকজন দেখা যায় নায়। রোগীর কাছ থেকে সেম্পল নিয়ে বালতিতে ফেলে দেয়। এটাকে অনেকে বলে থাকেন বালতি পরীক্ষা। কম্পিউটার দিয়ে কম্পোজ করে অফসেট পেপারে চকচকে রিপোর্ট তৈরি করে ডেলিভারি দেয়া হয় রোগীকে। এটাই হলো ভুয়া রিপোর্ট।
ভুয়া রিপোর্ট আসল রিপোর্ট থেকে দেখতে ভালো মনে হয় সাধারণত। একটু সচেতন হলেই বুঝতে পারবেন আপনি আসল, ভুল, না ভুয়া রিপোর্ট নিলেন। ভুয়া রিপোর্ট থেকে বাঁচতে হলে মন্দ লোকের পরামর্শ নিবেন না।
কেমন লাগলো তার উপর ভিত্তি করে নিচের ফাইফ স্টারে ভোট দিন ক্লিক করে
ডা. সাদেকুল ইসলাম তালুকদার রচিত বই-এর অনলাইন শপ লিংক
http://www.daraz.com.bd/shop/talukder-pathology-lab/
৭/১০/২০২০ খ্রি.