Introduced by Haque Sir
হক স্যারের কারনে পরিচিতি পেলাম
(স্মৃতি কথা)
ডাঃ সাদেকুল ইসলাম তালুকদার
সময়টা খুব সম্ভব ১৯৯৭ বা ৯৮ সন। ডাঃ ফজলুল হক পাঠান ভাই ময়মনসিংহ বিএমএ-র জেনারেল সেক্রেটারি ছিলেন। তিনি বৃহত্তর ময়মনসিংহের সব জেলার ডাক্তারদের নিয়ে একটা বিরাট সম্মেলন করেছিলেন। সেই সম্মেলনে আমি একটা সাইন্টিফিক পেপার প্রেযেন্ট করেছিলাম। প্যাথলজির প্রফেসর, সাবেক বিভাগীয় প্রধান, সাবেক অধ্যক্ষ, সাবেক বিএমএ প্রেসিডেন্ট ডাঃ আব্দুল হক স্যার সেদিন অন্যতম লিজেন্ড হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি তার বকৃতায় সম্মেলন আয়োজকদের ভুয়সী প্রশংসা কনেন। বিশেষ করে সাইন্টিফিক পর্বের প্রতি বেশ গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন “সাইন্টিফিক প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে আমরা চিকিৎসা বিজ্ঞানের নতুন নতুন বিষয়গুলো জানতে পারি। যেগুলো এখনো বইয়ে আসেনি। আমার এক ছাত্র ডা. সাদেকুল ইসলাম তালুকদার সুন্দর করে প্রেজেন্ট করেছে। সে প্যাথলজি বিভাগের হিস্টোপ্যাথলজির পাশাপাশি সাইটোপ্যাথলজি বিশেষ করে এফ এন এ সি ও পেপস স্মিয়ার করা হচ্ছে তা সুন্দর করে প্রেজেন্ট করেছে। এফ এন এ সি পরীক্ষার কথা তো আমার জানাই ছিলো না। আমার এক আত্মীয় কয়েকদিন আগে হাসপাতালে এসে ভর্তি হয়। আমি দেখে অনুমান করি তার ক্যান্সার হয়েছে। বায়োপসি পরীক্ষা করতে হবে ডায়াগনোসিস করার জন্য। কয়েকদিন সময় লাগবে। বিকেলে আমার বাসায় ওরা খবর নিয়ে এলো যে পরীক্ষায় ক্যান্সার ধরা পড়েছে। আমি বললাম যে আমাদের এখানে বায়োপসি পরীক্ষা করতে ৩ থেকে ১০ দিন সময় লাগে। আজকেই কিভাবে পরীক্ষা করলো। ওরা বললো, দুই ঘন্টার মধ্যেই রিপোর্ট দিয়েছেন। আমি বললাম যে রিপোর্ট নিয়ে আসো। রিপোর্টে দেখি ঠিকই ক্যান্সার ডায়াগনোসিস করেছেন আমারই ছাত্র, সম্প্রতি পিজি থেকে এম ফিল পাস করে এসেছেন ডাঃ সাদেকুল ইসলাম তালুকদার। তারপর এনিয়ে প্রফেসর মীর্জা হামিদুল হকের সাথে কথা বললাম। জানতে পারলাম এফ এন এ সি করে এখানে দ্রুতই ক্যান্সার ডায়াগনোসিস করা যাচ্ছে……।”
স্যারের বকৃতা শুনে অন্যান্য জেলার চিকিৎসকগণও জেনে গেলেন এফ এন এ সি ও পেপ্স স্মিয়ার পরীক্ষার গুরুত্ব এবং আমিও পরিচিতি পেয়ে গেলাম বৃহত্তর ময়মনসিংহের সকল ডাক্তারদের কাছে। প্যাথলজি বিশেষজ্ঞ হিসাবে ডাক্তারদের সাথে পরিচিতি পেলে যে কি লাভ তা ডাক্তারগণ জানেন। কাজেই ময়মনসিংহে ডাক্তারদের মাঝে পরিচিতি পেতে আমার সরাসরি শিক্ষক প্রফেসর ডাঃ আব্দুল হক স্যারের বিরাট অবদান আছে। আমি স্যারকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি।
১০ ডিসেম্বর ২০২২ খ্রি
ময়মনসিংহ
ডাঃ সাদেকুল ইসলাম তালুকদার
ম-১৭ ব্যাচ (১৯৮৫ এম বি এম এস)
সাবেক বিভাগীয় প্রধান, প্যাথলজি
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ